এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গত বছরের চেয়ে আরও পিছিয়েছে যশোর বোর্ড পাসের হার ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ। তবে বরাবরের মতো এবারও এইচএসসি পরীক্ষায় চমক দেখিয়েছে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। যশোরে বোর্ডে ফল বিপর্যয়ের মধ্যে জেলায় ভাল ফলাফল করেছে ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। কলেজটি থেকে এবার শতভাগ পাস না করলেও এবার এইচ এস সি ২০১৮ ফলাফলে পাশের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৮ জন শিক্ষার্থী। কলেজ প্রশাসন বলছে, সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের বিষয়টি মাথায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়। যার কারণে এই ভাল ফলাফল। কলেজটির অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রাব্বি আহসান জানান, এই বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডে ফলাফল বিপর্যয় হলেও ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ৭১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৭৪ জন পাস করেছে এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০৮ জন। বিজ্ঞান বিভাগে ৩৯২ জন পাস করেছে ও জিপিএ ৫ পেয়েসে ৮৮ জন, বানিজ্য বিভাগে ১২৩ জন পাস করেছে ও জিপিএ ৫ পেয়েসে ৫ জন, মানবিক বিভাগে ১৫৯ জন পাস করেছে ও জিপিএ ৫ পেয়েসে ১৫ জন। গত বছর ৯৮ দশমিক ৩২ শতাংশসহ জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ১২৭। ২০১৬ সালে এই কলেজটি থেকে ২৪৫টি জিপিএ-৫সহ ৯৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। ধারাবাহিকভাবে ভাল ফলাফল প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রাব্বি আহসান বলেন, মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার জন্য কলেজের শিক্ষকরা সব সময় সষ্টে থাকেন। সৃজনশীল প্রশ্ন পত্রের বিষয় মাথায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিশেষ পদ্ধতিতে পাঠদান করানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেটকে বাদ দিয়ে শ্রেণিকক্ষে ক্লাসের জন্য উৎসাহ দেয়া হয়। আমরা মূল বইকে গুরুত্ব দিই। এছাড়া দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হয়। সর্বপরি নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা মেনে কলেজটি পরিচালিত হয়। যার কারণে ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ভাল ফলাফল অব্যাহত রয়েছে। আগামীতে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাসের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমাদের। তবে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে জিপিএ-৫ কমতে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৪২ ছিল তখন আমাদের কলেজ থেকে ২৪৫জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত বছর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ০২ শতাংশ ছিলো, আমাদের কলেজে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ছিল ১২৭। এবছর বোর্ডে পাশের হার ৬০ শতাংশ। হতে পারে আমাদের দূর্বলতা আছে।’
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গত বছরের চেয়ে আরও পিছিয়েছে যশোর বোর্ড। দুই বছরের ব্যবধানে পাসের হার কমেছে ২৩ শতাংশ। এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৭০ দশমিক ০২ ভাগ। আর ২০১৬ সালে ৮৩ দশমিক ৪২ ভাগ পাসের হার নিয়ে দেশসেরা হয়েছিল যশোর বোর্ড। পাসের হারের পাশাপাশি জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও কমেছে এই বোর্ডে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৯ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ৪৪৭ জন। আর ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৫৮৬। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র এ ফলাফল সংক্রান্ত এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইংরেজিতে ফলাফল খারাপ হওয়ায় তা সার্বিক ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে।
0 Comments